আইসিটি বিভাগের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে আমি প্রবাসী লিমিটেড। এর ফলে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে জনশক্তি রফতানিখাতে শতভাগ স্মার্ট সেবা নিশ্চিতে এখন থেকে সরকারের আইসিটি বিভাগের সাথে এক হয়ে কাজ করবে আমি প্রবাসী লিমিটেড। বুধবার (২১ জুন) রাজধানীর আইসিটি মন্ত্রণালয়ের বিসিসি মিলোনায়তেন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আইসিটি ডিভিশনের যুগ্ম সচিব মো. আতাউর রহমান খান এবং 'আমি প্রবাসী' লিমিটেডের কো-ফাউন্ডার ও সিইও নামির আহমেদ নুরি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের হয়ে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
এ সময়, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, বিদেশ থেকে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স আনার প্রক্রিয়া স্মার্ট করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, আজ থেকে আইসিটি ডিভিশন এবং 'আমি প্রবাসী' একসাথে চুক্তিবদ্ধ হলো। 'আমি প্রবাসী'র মাধ্যমে আমরা স্মার্ট রেমিট্যান্স সেবা দিতে চাই, অচিরেই এই অ্যাপে স্মার্ট রেমিট্যান্স সার্ভিসটি যুক্ত করতে হবে।
এসময় প্রবাসীদের ডাটা ব্যাংক সংরক্ষণের বিষয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও জানান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী। এমন স্মার্ট একটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করায় তিনি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং 'আমি প্রবাসী'কে ধন্যবাদ জানিয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যে এতো বেশি ডাউনলোড এবং এতো চমৎকার ব্যবহার উপযোগী অ্যাপ এবং আমার মতে ওয়ার্ল্ডের ওয়ান অফ দ্য ফাস্টেস্ট গ্রোইং অ্যাপ আমি প্রবাসী। আইসিটি ডিভিশনের সাথে 'আমি প্রবাসী'র মেলবন্ধন প্ল্যাটফর্মটিকে আরও এগিয়ে যাবে ভবিৎষ্যতে প্রবাসীদের জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ, মার্কেটপ্লেসসহ আইসিটি ডিভিশন এবং এটুআইয়ের সবগুলো সাপোর্টিভ পোর্টালে 'আমি প্রবাসী'র সেবাগুলো এন্টিগ্রেটেড করারও ঘোষণা দেন তিনি।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রী ইমরান আহমদ সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে উভয়পক্ষের সমান দায়িত্ব ও অংশীদারিত্বের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, প্রবাসীদের সকল সুবিধা একই প্ল্যাটফর্ম আসতে শুরু করায় অনলাইন সেবা পেতে শুরু করেছে বিদেশগামী কিংবা প্রবাসীরা। সেক্ষেত্রে সেবা প্রদান সহজীকরণে সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, আগে যখন আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলতাম, অনেকেই নানা মন্তব্য করতেন, আর এখন আমরা ঠিকই ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা পাচ্ছি। তাই আগে ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ আর এখন আমাদের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে আমি প্রবাসী লিমিটেডের কো-ফাউন্ডার ও সিইও নামির আহমেদ নুরি আমি প্রবাসী অ্যাপ এবং ওয়েব পোর্টালের বিভিন্ন ফিচার এবং তার সাফল্য তুলে ধরেন। আমি প্রবাসী থেকে প্রাপ্ত বিশাল ডেটা কীভাবে বাংলাদেশ সরকারকে অভিবাসন খাতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করছে তার সবিস্তারিত তথ্যও তুলে ধরেন নামির আহমেদ নুরি।
এরইমধ্যে প্রায় ৫০ লাখ ব্যবহারকারী 'আমি প্রবাসী' অ্যাপ থেকে সেবা পেয়েছেন। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে, অ্যাপটি তৈরিতে সার্ভিস চার্জ ভিত্তিক মডেল অনুসরণ করায় এতে সরকারের কোনো ব্যয় ধরা হয়নি। তবে, বিদেশগামী কর্মীদের সহায়তার জন্য সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশি প্রকৌশলী এবং প্রযুক্তিবিদদের দিয়ে তৈরি বিশ্বে এমন অ্যাপ এটাই প্রথম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ।